আন্দোলনকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারের কঠোর বার্তা

New-Project-96-2.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

পদ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত দাবি নিয়ে ২৬টি ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছে, কেউ এই বিধি লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থার আওতায় আসবেন।

মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কঠোর বার্তা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ছাড়াও ইদানীং দেখা যাচ্ছে সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই সে বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার পরিপন্থী।

বিজ্ঞপ্তিতে বিধিমালার এ সংক্রান্ত কিছু অংশ উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যেকোনো প্রকারে বাধা দিতে পারবেন না। অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না।

এ রকম মোট বিষয় উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিধিমালার যেকোনো বিধান লঙ্ঘন অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনো কর্মচারী বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।

পদ ও পদোন্নতি–সংক্রান্ত দাবিতে জনপ্রশাসনে এখন দুটি পক্ষ মাঠে নেমেছে। তাদের মধ্যে একদিকে আছে প্রশাসন ক্যাডার, অন্যদিকে আছে ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। মূলত ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ আলোচনায় আসার পর থেকে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাঁদের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সভা, জমায়েত, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সরব বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ৩ জানুয়ারি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনা চলছে।

Leave a Reply

scroll to top