আজ জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আসলাম তালুকদার মান্না ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী

New-Project-86.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মান্না।  তবে মান্নার মৃত্যু নিয়ে আজও ভিন্নমত পোষণ করেন তার স্ত্রী শেলী মান্না। ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে এফডিসিতে এসে তিনি বলেন সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে নায়ক মান্নার।সঠিক চিকিৎসা পেলে মান্না হয়তো আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতেন।

মান্নার মৃত্যু এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি তার কোটি কোটি ভক্ত। নিতে পারেনি তার পরিবারও। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান মান্না। তার এ মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে দাবি পরিবারের। এক সাক্ষাৎকারে শেলী মান্না বলেন, ‘আমি একজন ডাক্তারের মেয়ে। বাংলাদেশে এমবিবিএস তখনো চালু হয়নি। আমার বাবা কলকাতা থেকে পাস করেছেন। সেই আমলের ডাক্তার তিনি। আমার বাবা যেহেতু আক্তার, তাই আমি ডাক্তারদের খাটো করে কিছু বলছি না। বলতে গেলে আমাদের দেশের সিস্টেম বা প্রক্রিয়ার কথা বলতে হয়। আমার বাবা ডাক্তার বলে চিকিৎসা সিস্টেমের কথা আমি কিছুটা জানি।’

 

ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি তার ছিল প্রচণ্ড ঝোঁক। কলেজে পড়ার সময় প্রচুর সিনেমা দেখতেন। নায়ক রাজ্জাকের সিনেমা হলে তো কথাই নেই। স্বপ্ন দেখতেন তিনিও একদিন অভিনয় করবেন। অনেকের ইচ্ছে থাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার; কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল নায়ক হওয়ার। হলেনও। কিন্তু বেশিদিন রইলেন না।

মান্না অভিনীত প্রথম ছবি ‘তওবা’ হলেও প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবির নাম ‘পাগলী’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাশেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন মান্না। এ ছবিটি সুপার হিট হওয়ার কারণে একের পর এক একক ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান মান্না।

১৯৯৭ সালে নায়ক থেকে প্রযোজনায়ও আসেন মান্না। মান্নার প্রথম ছবি ‘লুটতরাজ’ সুপারহিট ব্যবসা করে। এরপর বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে শুরু হয় মান্না-অধ্যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মান্না একাই লড়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে তার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৯৯৬ সালে সালমান শাহের হঠাৎ মৃত্যুতে প্রযোজক-পরিচালকেরা দিশেহারা হয়ে পড়লে সে সময়ে পরিচালকদের চোখে একমাত্র আস্থার নায়ক হিসেবে ধরা দেন মান্না।

Leave a Reply

scroll to top