আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

New-Project-92-1.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

জুলাই অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে, সে জন্য দলটিকে শুধু নিষিদ্ধ নয়; নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ফেসবুকে উপদেষ্টা লেখেন, এটাই আমার ব্যক্তিগত অবস্থান। এখন সেটা করার প্রসেস কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। আমার চোখের সামনে তাদের গুলিতে ভাইদের শহীদ হতে দেখেছি। গুমের শিকার হয়েছি, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চিন্তাও আসা অসম্ভব। বিস্তারিত না বলায় আমিও ঠিকভাবে বুঝাতে পারিনি। কিছু কিছু মিডিয়াতেও বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। বিচারের পূর্বে এই প্রশ্নই অবান্তর।

তিনি লেখেন, তবে এই প্রশ্নের একটা স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে। তা যদি না হয় তবে আজ বা কাল আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, তাতে কি জামাতের রাজনীতি করা আটকাতে পেরেছে? এটা যদি ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসের মধ্য দিয়ে না হয় তাহলে সম্ভব হবে কি না প্রশ্ন থেকে যায়। ১৬ বছরে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীর সংখ্যা অনেক।

উপদেষ্টা আরও লেখেন, অনেকেই বলছেন অন্যায় না করলে ক্ষমা চাইবে কেন? অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেকোনো ফরম্যাটে জড়িত থাকার কারণে, ফ্যাসিস্ট অ্যানাবলার কিংবা সুবিধাভোগী হিসেবেই ক্ষমা চাইতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বচ্ছ, উন্মুক্তভাবে এবং ধাপে ধাপে। নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি এবং সোশ্যালি (ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে) আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা বিশেষ সময় অতিক্রম করছি। পুলিশকে যেভাবে জনগণের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দিয়ে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ফিরে মাঠে গিয়ে কাজ করা পুলিশের জন্য অনেক বেশি কঠিন ও চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমরা পুলিশকে জনবান্ধব করার চেষ্টা করছি।’

 

Leave a Reply

scroll to top