প্রায়শই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেন দীপিকা পাড়ুকোন। এই মুহূর্তে বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা তিনি। তবে শুধু পর্দায় নয়, পর্দার পিছনে দীপিকা পাড়ুকোনের ব্যক্তিত্বেও মুগ্ধ অনুরাগীরা। একাধিক বার প্রকাশ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি নিজের অবসাদের কথা বলতেও রাখঢাক করেননি তিনি। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজেও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝতে পারতেন না।
পরীক্ষার সময়েও কী ভাবে প্রস্তুতি নিতেন তা জানিয়েছেন দীপিকা। অভিনেত্রীর কথায়, “পরীক্ষার সময় আমি খুব চাপে পড়ে যেতাম। অঙ্কে আমি খুব কাঁচা ছিলাম। আমি এখনও অঙ্কে খুব কাঁচা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘সব সময় নিজেকে প্রকাশ করো। নিজেকে কখনও চেপে রেখো না।’ আমিও মনে করি, বন্ধু ও পরিবারের কাছে নিজের মনের কথা প্রকাশ করো। ডায়েরি লেখাও নিজের মনকে প্রকাশ করার ভাল অভ্যাস।”
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেছেন, একটা সময় কাজে ডুবে থাকতাম। কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সময়ই পেতাম না। দিনের পর দিন মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করতাম। পরে আবার তার ফল নিজেই ভুগেছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
রণবীরপত্নী আরও বলেন, আমি অনবরত কাজ করতে গিয়ে একদিন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলাম। কিন্তু কয়েক দিন পর বুঝলাম— আমি অবসাদে ভুগতে শুরু করেছি।
সাক্ষাৎকারে শৈশবের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। শৈশবের কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি শৈশবে খুব দুষ্টু ছিলাম। কখনো টেবিলে উঠে পড়তাম। আবার কখনো চেয়ার বা সোফা থেকে লাফ দিতাম।
এই নিয়ে দীপিকার বলেন, অনেক রাত আমার গুম আসতো না। একা একা কাঁদতে শুরু করতাম। আমার আত্মহত্যা করতে বচ্ছে করতো। কেন এমন হতো আমি নিজেেই জানতাম না। অথচ সেই সময় ক্যারিয়ারের তুঙ্গে ছিলাম আমি। এই অভিনেত্রী আরো বলেন সেই সময় তিনি পরিবারের পুরো সার্পোট পেয়েছিলেন। বিশেষকরে তার মার।
২০১৫ সালে অবসাদ নিয়ে প্রথম কথা বলেন তিনি। যা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছিল। এখনকার মতো সেই সময় তারকাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ নিয়ে কথা বলার চল ছিল না বলিউডে। কিন্তু এই অভিনেত্রী বরাবর ছিলে আলাদা।
২০২০ সারে তিনি অবসাদ নিয়ে এক টুইটে জানান, অবসাদ হলো একটি রোধ।