দীর্ঘদিন জলঘোলার পর নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকলো ভারত। অবশেষে ঘটল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে টানাপোড়েনের ইতি। আগামী বছর হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে ৮ দলের এই টুর্নামেন্ট। তবে সেটা হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে! ক্রিকেট কূটনীতিতে জয় হয়েছে পাকিস্তানেরও। পিসিবির প্রস্তাবও মেনে নিয়েছে বিসিসিআই। অর্থাৎ আগামী চার বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় আইসিসির ইভেন্টে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। ভারতে দল পাঠাবে না তারা।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪-২৭ সাল পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানে আইসিসির ইভেন্টগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দেশ। যার শুরুটা হবে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও দেশটিতে খেলতে যাবে না ভারত। তার বদলে ম্যান ইন ব্লুদের খেলা হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচগুলো কোন দেশে আয়োজিত হবে, তা প্রস্তাব করার কথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। আইসিসি অনুমোদন দিলেই নিরপেক্ষ দেশের নাম ঘোষণা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিন্স ট্রফির পর, একই বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২৬ সালে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। অর্থাৎ পাকিস্তানও ২০২৫ মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে না। আবার ২০২৬ সালে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো খেলবে শ্রীলঙ্কায়।
হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত হতে পারে ২০২৮ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। কেননা পরবর্তী চক্রের সেই টুর্নামেন্টও আয়োজিত হওয়ার কথা পাকিস্তানে। সুতরাং ভারত সেই টুর্নামেন্ট খেলতেও পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকার করতে পারে।
অন্যদিকে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে যদি পিসিবি নিরপেক্ষ কোনো দেশে ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে কোনো ত্রিদেশীয় অথবা চার দলীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করে, সেক্ষেত্রেও আইসিসির কোনো আপত্তি নেই বলে খবর।
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে এশিয়ার কোনো পূর্ণ সদস্য দল যোগ দিতে পারে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে। চার দলীয় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এশিয়ার কোনো পূর্ণ সদস্য এবং কোনো সহযোগী দেশ অংশ নিতে পারে সেই টুর্নামেন্টে।