নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক ভাড়া বাসায় গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ স্ত্রী সন্তানের পর না ফেরার দেশে চলে গেছেন স্বামী সোহাগ (২৫)। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ জন।
সোমবার (১০মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ০৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, গত ৩ মার্চ দগ্ধ অবস্থায় নারী শিশুসহ ৮ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ৯ মার্চ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান রূপালি। তার শরীরের ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে শনিবার সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুপালি-সোহাগ দম্পতির ১৮ মাস বয়সী শিশু সন্তান সুমাইয়া মারা যায়। তার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত ৭ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে মেইল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় হান্নান নামে আরও একজন মারা যান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহাগ । তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
দগ্ধরা হলেন- রিকশাচালক মো. হান্নান (৫৫), তার স্ত্রী নুরজাহান আক্তার লাকী (৩২), তাদের ছেলে সাব্বির (১২), মেয়ে সামিয়া (১০) ও জান্নাত (৫)। অপর পরিবারের সোহাগ (২৫), তার স্ত্রী রুপালি বেগম (২২) ও তাদের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৮ মাস)। এদের মধ্যে হান্নান, সুমাইয়া, রুপালি ও সোহাগ মারা গেছেন।
দগ্ধ বাকিদের অনেকেরই অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
নিহতে বড় ভাই রুবেল জানান, আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী দুজনেই পোশাক শ্রমিক ছিল। আমাদের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায়।
প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়াও, মিথেন, প্রোপেন এবং বিউটেন গ্যাসও একই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরিত হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা, অথবা ভুলভাবে ইনস্টল করা গ্যাস যন্ত্রপাতি; পুরানো, মরিচা পড়া ,অথবা ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস লাইন; এবং ত্রুটিপূর্ণ প্রোপেন ট্যাঙ্ক, এবং নিয়ন্ত্রক।
তাই সকলকেই নিয়মিত গ্যাস সনাক্তকরণ সরঞ্জামগুলি পরিক্ষা, নিরিক্ষা ও পর্যবেক্ষণে মনোযোগী হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, নিশ্চিত করুন যে ব্যাটারিগুলি কাজ করছে ।