জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফাইটব্যাক করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা । এরপর শুরু হয় এই অভ্যুত্থানের নতুন অধ্যায় । বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি একথা বলেন।
সারজিস ফেসবুকে লেখেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানে যেদিন আমাদেরকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করা হলো সেদিন ক্যাম্পাস ছাড়ার সময় বারবার মনে হচ্ছিলো – কোটা সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলন কি এখানেই শেষ হয়ে যাবে? খুনি হাসিনা কি লাশের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন এখানেই শেষ করে দিবে কিংবা সাময়িকভাবে এই আন্দোলন এখানে থেমে গেলেও আমরা কি আবার রাজপথে ফিরতে পারবো?
তিনি ওই পোস্টে আরও লেখেন, কিন্তু ঠিক তার পরের দিন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোদ্ধারা রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে ইতিহাসের যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফাইটব্যাক করে তা এই অভ্যুত্থানের নতুন অধ্যায় শুরু করে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক বলেন, চব্বিশের ইতিহাসে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহসী সহযোদ্ধাদের ত্যাগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আপনাদের প্রতি বাংলাদেশের আজীবনের ঋণ।
ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্য আর শেষ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে না পারলে, দিনশেষে অবস্থা ছাত্রলীগের মতোই হবে বলে এর আগে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনা মিডিয়ার গলা চেপে ধরে রেখেছিল বিভিন্ন এজেন্সি অলওয়েজ নজরদারি করত। বিপ্লবী পরিষদ বলছে ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রথম রাজনৈতিক দল’ তারা করতে যাচ্ছে।
সরকার পতনের মাত্র ছয় মাসের মাথায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন,সরকার পতনের মাত্র ছয় মাস যেতে না যেতেই আওয়ামী লীগ কীভাবে কর্মসূচি দেয়? এত মানুষ হত্যার পরও তাদের এত সাহস আসে কীভাবে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মতো মানুষ যদি বলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ডকুমেন্টস তিনি রাখেননি, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা ছাত্রসমাজই নির্ধারণ করবে। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
১৬ বছরের অত্যাচার ১৬ মাসেও শেষ হবে না। শেখ হাসিনার সরকার যে অপকর্ম করেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই জায়গাটা ভেঙে গেছে।