সকালে খালি পেটে যেসব খাবার খাবেন

New-Project-23-5.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে সকালের খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ রাতে ঘুমানোর কারণে দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকে। তাই সকালে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে সারাদিনের পুষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যা খালি পেটে খাওয়া উচিত না। কারণ এসব খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে অস্বস্তিকর অবস্থা, বমি বমি ভাব ও পেট জ্বালা করে অ্যাসিডিটি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সকালের সময়টা কমবেশি সকলে ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। তবে, সকালে খাবারে পুষ্টিকর কিছু খেতে পারলে সারাদিনের জন্য চিন্তামুক্ত থাকা যায়। এতে শরীরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয়। আবার শরীর দুর্বল হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। আসুন জেনে নিন, সকালে কোন কোন খাবার খাবেন।

সকালের শুরুটা করতে পারেন লেবুপানি দিয়ে। সকালে এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়বে। হালকা গরম লেবু পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, বদহজম ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাও দূর হবে। আবার লেবুতে আছে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সকালের খাবারে কাঠবাদাম খাওয়া অনেক উপকারী। এতে উচ্চ মাত্রার ফাইবার আছে, যা হজমের সমস্যা দূর করে। কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়াই ভালো। ভেজানো কাঠবাদাম থেকে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস থেকে পুষ্টিগুণ সহজে শরীর শুষে নিতে পারে।

খেতে পারেন চিয়া সিড। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চিয়া সিডে আরও আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার। ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে। তাই চিয়া সিড নিয়মিত খেলে হজম শক্তি ভালো থাকবে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সকালের নাস্তায় যারা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তবে হালকা কিছু খেতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ওটস। ওটস পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। বর্তমানে ওটস বা ওটমিলের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। কারণ এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। যেকোনো খাদ্যশস্যের তুলনায় ওটস খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার ওটস হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। আবার ওটস এক প্রকারের শস্যজাতীয় খাবার, যা রক্তচাপ কমাতে ও হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সকালে ওটস খেলে উপকার পাওয়া যায় বেশি।

অনেকই সকালের নাস্তায় ওটসের সাথে দই খেতে পছন্দ করেন। কেউবা ফলের সাথেও দই খেয়ে থাকেন। স্মুদি তৈরি করেও এটি খাওয়া যায়। দইকে বলা হয় প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দই দিয়ে দিনের শুরুটা করতে পারলে সারাদিনে হজমশক্তি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

সকালে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। ডিমে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২, বায়োটিন। ডিমে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন রয়েছে। তাই সকালের নাশতায় ডিম রাখলে সারাদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা বা জিম করেন তাদের জন্য ডিম প্রোটিনের অন্যতম উৎস।

সকালের নাস্তা শেষে এককাপ গ্রিনটি শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আবার গ্রিনটি হজমশক্তি ভালো করার পাশাপাশি ওজনও কমায়। ফলে শরীরের বাড়তি মেদ তাড়াতাড়ি কমে।

Leave a Reply

scroll to top