পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুমারখালী বাজার মাঠে জামায়াতে ইসলামী নাজিরপুর শাখার উদ্যোগে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এস এম শামসুল হকের সভাপতিত্বে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের পুত্র আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
মাসুদ সাঈদী তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা মুক্ত হতে পারলেও আমরা এখনো বৈষম্য মুক্ত হতে পারলাম না। বিগত ০৬ মাসে যত রাজনৈতিক নেতা ফাঁসির আসামি সহ বন্দী ছিলেন, প্রায় সকলেই মুক্তি পেলেও জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে এখনো কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে জুলুম, বৈষম্য এখনো শেষ হয়নি। আজকের এই সমাবেশের মাধ্যমে তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। জামায়াতের নিবন্ধন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন আমাদের ১১ কেন্দ্রীয় নেতাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার হত্যা করেছে, তাদের মধ্যে ০৫জনকে ফাঁসি দিয়ে ও ০৫জনকে বিনা চিকিৎসা নির্যাতন করে ধুকে ধুকে মেরে ফেলেছে। আর কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কোন রাজনৈতিক দল নেই যাদেরকে জামায়াতের মতো এতো অত্যাচার করেছে। সারা বাংলাদেশে জামায়াত শিবিরের সব অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।
আমার পিতা এই আসনে ০২বারের এমপি ছিলেন, কেউ বলতে পারবেন না যে তিনি একটি টাকাও দুর্নীত করেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর -০১ আসনের প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আপনা দের অনেক পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে, আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে প্রার্থী বাছাই করবেন।
মাওলানা আবু দাউদ এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি কাজী মোসলেহ উদ্দিন, উপজেলা সাবেক আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, পিরোজপুর সদর থানা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন আমির আবুল হোসেন, ছাত্রনেতা আবু সাঈদ মোল্লা, প্রভাষক প্রদীপ কুমার হালদার প্রমুখ।
এর আগে তিনি সকালে নাজিরপুর উপজেলার কৃষি প্রশিক্ষণ হল রুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।