বেশ কয়েক বছর ধরে টালিউডে তেমন কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা নেই বললেই চলে। অনেকটা অলস সময় পার করছেন এই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নামি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।ঠিক এমন একটা সময় সুপারস্টার দেবের ‘খাদান’-এর মত ছবি টালিউডের ব্যবসায়িক ভাগ্য ফেরালেন। অবশ্য ‘খাদান’ তৈরির সময়ে মোটেই এমন প্রত্যাশা ছিল না তার। এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার এবং সাফল্যের পরও আজ যেন স্বপ্নপূরণের দিন এমনটাই জানালেন তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ কম থাকায় সম্প্রতি সময় ঢাকামুখী হতে দেখা গেছে সেখানকার শিল্পীদের। গত দুই বছরে বাংলাদেশে কাজ করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল, দর্শনা বণিক, মিমি চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, কৌশানী মুখার্জিসহ আরও অনেকে। তারও আগে কাজ করেছেন শ্রাবন্তী, স্বস্তিকা, প্রিয়াঙ্কা, ঋতুপর্ণার মতো শিল্পীরা।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এসব নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা। দেব বলেন, ‘শুধু তো স্বপ্ন পূরণ নয়, এই সাফল্য আমার দায়িত্ব বাড়াল দশ গুণ। আমাকে এবার ভাবতে হবে যখন বাংলা কমার্শিয়াল ছবির সঙ্গে অন্য ভাষার ছবি মুক্তি পাবে তখন যেন কোনো অংশে বাংলা পিছিয়ে আছে এমন মনে না হয়। ক্যানভাসটা আরও বড় করতে হবে।’
বাঙালি কাঁকড়ার জাত। এ কথা কি বিশ্বাস করেন দেব? উত্তরে অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, ‘বাঙালির একটা অদ্ভুত অভ্যাস আছে। বন্ধু ফেল করলে দুঃখ পায়। পাশ করলে আরও দুঃখ পায়। প্রথম হলে তো কথাই নেই!’ আমার কাছে আর কিছুই ম্যাটার করে না। শুধু আমার দর্শক কী বলছেন সেটুকু নিয়েই আমি চিন্তা করি।’
সাফল্যের সঙ্গে বিতর্ক কখনও তাঁর পিছু ছাড়েনি। এ প্রসঙ্গে দেবের মত,‘আমি কন্ট্রোভার্সি থেকে দূরে থাকতে চাইলেও বিতর্ক আমার পিছু ছাড়ে না। আমি কিন্তু কারও খাবার ছিনিয়ে নিয়ে নিজের পেটটা ভরতে চাই না। আমার লক্ষ্যটা খুব ক্লিয়ার। আমি একা বড় হতে চাই না। ইন্ডাস্ট্রিটাকে বড় করতে চাই। ২০২৭-২০২৮-এ দাঁড়িয়ে আমাদের বক্স অফিসটা যেন ৫০-৬০ কোটি টাকা ছঁুতে পারে। এই ভাবেই তো সাউথ-মুম্বই ইন্ডাস্ট্রি বড় হয়েছে। আমরা এগোতে পারি না তার কারণ আমরা একে অন্যের সাকসেসটাকে সেলিব্রেট করি না। কেউ কাউকে এগোতে দিই না। আমি সেটাকেই ভাঙতে চাই।’