বিজ্ঞানের ভাষায় একটি কথা আছে, ‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত পতিক্রিয়া আছে।’ ৫ আগস্টের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার সমান পতিক্রিয়া পেলেও এখন বোধহয় সেই বিপরীত পতিক্রিয়াটাই পাচ্ছেন। সেই কারণেই হয়তো একের পর বাউন্সার যাচ্ছে তাদের উপর দিয়ে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঘটেছে সেইরকমই আরও একটি ঘটনা।
আজ রোববার মিরপুর-১৩-তে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তবে সমস্যা সেখানে নয়। সমস্যা হচ্ছে খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে লাল গালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এস্কেভেটরে উঠে কাজের সূচনা করেন উপদেষ্টারা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকরী লিখেছেন, ‘লাল গালিচায় খালে নেমে খননের উদ্বোধন করলেন ৩ উপদেষ্টা। এরা দেখি রীতিমতো সবকিছুকে হাস্যরসাত্নক করে তুলছে…।’
আসাদ বিন ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘লাল গালিচায় খালে নেমে খননের উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার!তবে এ আপা কাজের চেয়ে বকবকানি বেশি করে এটা বিরক্তিকর!’
আরিফুর রহমান লিখেছেন, ‘রাজধানীতে লাল গালিচায় খালে নেমে খননের উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার। ২০২৫ সালের এখন পর্যন্ত এটা সেরা কমেডি। এমনকি ফেসিবাদি আওয়ামী লীগের হরতাল ডাকার চেয়েও।’
মঞ্জুরুল মোরশেদ জিসান নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘লাল গালিচায় খালে!? যাক, খনন কাজ শুরু করসে, এটা ভাল নিউজ।’
আগের মেয়রগণও এমন হাঁকডাক দিয়ে খাল উদ্ধারে নামতেন, এখনও আপনারা লাল গালিচায় খালে নেমে উদ্বোধন করছেন—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি ওটা (লাল গালিচা বিছানো) খেয়াল করিনি, হয়তো আপনি সেটা খেয়াল করেছেন।’
রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আগে খাল উদ্ধার হয়নি, কিন্তু এখন আবার এই কার্যক্রম হাতে নিয়ে লাভ কী? এমনটা মনে হলে আমরা করবোটা কী? আমাদের ৮ মাস কিংবা ১৪ মাসে পুরোটা করা সম্ভব হবে না, কিন্তু শুরুটা তো করে দিতে পারি।’