ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম কে মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে একটি স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। জাদুঘরের স্থান পেয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ বছরের পুরনো বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় উপজেলার ডাক্তার মুকতাদির হাসপাতাল ভবনে এ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ডাক্তার মুকতাদিরের একক সম্পাদনায় বিভিন্ন ধরনের দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও জাদু পরিবেশন করা হয়।
উদ্বোধন শেষে ডাক্তার মুকতাদির আমন্ত্রিত অতিথি ও সাধারণ জনগণকে তার জাদুঘরের বিভিন্ন কর্নার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান। এ সময় জাদুঘরের ভিতরে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন গুলো সম্পর্কে একে একে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার মুকতাদিরের সহধর্মিনী অধ্যাপিকা ডাক্তার মাহমুদা খাতুন, গৌরীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাজ্জাদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইকবাল আহমেদ নাসের, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মৃতি জাদুঘরটি ৬৩ প্রকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। ৪৫ থেকে ৫০ টি দেশের বিভিন্ন প্রকার মুদ্রা এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০০ বছরের পুরানো বিভিন্ন রকম বাদ্যযন্ত্র, হরিণের চামড়া, শতবর্ষের পুরনো বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা ও দুর্লভ ছবি এ জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।
ডাক্তার মুকতাদির ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার নগর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করে একই মেডিকেলে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। দেশ সেরা চক্ষু বিশেষজ্ঞ সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। গরিব রোগীদেরকে চক্ষু সেবা দেয়ার লক্ষ্যে তিনি নিজ গ্রামে ২০০৪ সালে ডাক্তার মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল স্থাপন করেন।