ভারত-অস্ট্রেলিয়া মহারণ আজ, আহমেদাবাদের প্রতিশোধ দুবাইয়ে নিতে পারবে রোহিতরা?

New-Project-36.jpg

ভারত-অস্ট্রেলিয়া মহারণ আজ

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

শেষ বার ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া এক দিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে। ওই ম্যাচের ফলাফল কী হয়েছিল, তা এখন নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের অনেকেই সেই হৃদয়ভঙ্গের রাত আজও ভুলতে পারেননি। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তুলেছে ম্যান ইন ব্লুসরা। তবে সেবার প্রতিপক্ষ ছিল সাউথ আফ্রিকা। তাইতো অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আক্ষেপটা রয়েই গিয়েছে।

সেই আক্ষেপটাই হয়কো ঘুচতে পারে আজ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রতিশোধের ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দু’টি লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমটি যদি হয় ট্রফি জেতা, দ্বিতীয়টি অহমদাবাদের ১ কোটি ৩ লাখ দর্শককে চুপ করিয়ে দেওয়া। দুটি কাজেই সফল হয়েছিল অজিরা। ঠিক যেমনটা ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

পরোক্ষভাবে এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনেকটা সেভাবেই আগাচ্ছে যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চাচ্ছে। দুবাইয়ে মঙ্গলবার আহমেদাবাদের মতো এত সমর্থক পাশে না পেলেও হাজার বিশেক সমর্থক নিঃসন্দেহে পাবেন বিরাট কোহলিরা।

অস্ট্রেলিয়ার সেই দলের সঙ্গে এই দলের বিশেষ মিল নেই। ‘অহমেদাবাদের ১.৩ লাখ দর্শককে চুপ করিয়ে দেব’, এই হুঙ্কার যিনি ছেড়েছিলেন সেই প্যাট কামিন্সই চোট পেয়ে দলের বাইরে। নেই তার সতীর্থ মিচেল স্টার্কও নেই। যিনি দুজনের অভাব কমাতে পারতেন, সেই জশ হেজলউডও ছিটকে গিয়েছেন। ফলে এই অস্ট্রেলিয়া কার্যত ভাঙাচোরাই।

তবে ভারতের ‘মাথা’ব্যথা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রথমত, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করা ট্রেভিস হেড রয়েছেন দলে। দ্বিতীয় জন স্টিভ স্মিথ। এছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই। এদিকে ভারতের হাতেও জসপ্রীত বুমরাহের মতো অস্ত্র নেই।

২০১১ সালের পর আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া চার বার মুখোমুখি হয়েছে। দুদলই শিরোপা ঘরে তুলেছে দুবার করে । তবে ভারত যেখানে দুটি ম্যাচ জিতেছে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার দুটি জয়ই নকআউট পর্বে। একটি ২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, অপরটি ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে।

রোহিত, কোহলি, জাডেজা যদি জল্পনা অনুযায়ী এটাই শেষ আইসিসি প্রতিযোগিতায় খেলতে নামেন, তা হলে মরিয়া হয়ে আর একটা ট্রফি চাইবেন তারা। আর সেই চাওয়ার পথে প্রধান বাধা অস্ট্রেলিয়াই। তারা কি সেই কাজে সফল হবেন, দেড় বছর আগের হারের বদলা নিতে পারবেন? উত্তর পাওয়া যাবে কয়েক ঘণ্টা পরেই।

Leave a Reply

scroll to top