আগামী শুক্রবার থেকে বেক্সিমকোর ১৪টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা ৯ মার্চ থেকে পরিশোধ করা শুরু হবে। আর দেয়া হবে মোট ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া শুক্রবার থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বন্ধ হবে বলে ঘোষণা করা হবে।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে নোটিশে জানা যায়, এতদ্বারা বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, সারাব, কাশিমপুর, গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো লি. (ইয়ার্ন ইউনিট-১ ব্যতীত) ও এর সংশ্লিষ্ট অপর ১৩ (তের) টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪ (চৌদ্দ) টি প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কারখানাসমূহের লে-অফ ঘোষণা করা হয়।
কোনোভাবেই কাজের সংস্থান না থাকায় কারখানাসমূহ ১৬(৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০(৩) ধারা মোতাবেক কারখানার সব শ্রমিককে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ছাঁটাই করা হলো এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের সব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাঁটাইকৃত সব শ্রমিককে আইন ও বিধি অনুযায়ী তাদের সব প্রাপ্য পাওনাদি প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব শ্রমিক ও কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত যাবতীয় পাওনাদি ৯ মার্চ হতে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ম্যানেজিং ডিরেক্টর (বেক্সিমকো লিমিটেড)
ঋণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় তহবিলের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব হতে প্রদত্ত ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা পুনর্ভরণ (Liquidity Guarantee) এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িত দায়ী বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাংক ও কোম্পানিসমূহের কর্মকর্তা/ বোর্ড সদস্য ও ব্যক্তিগণ যাতে দেশের বাহিরে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ তাদের পাসপোর্ট জব্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।