মাসব্যাপী অমর একুশে বই মেলা শুরু হচ্ছে আজ, চলবে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত। অর্ধশতাব্দিরও বেশি সময় আগে যখন এই মেলা শুরু হয়েছিল তখন আজকের এই জৌলুস ছিলো না। মাত্র ৩২টি বই নিয়ে ১৯৭২ সালের আট ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এই বই মেলা শুরু হয়। ওই মেলায় কোনো স্টল ছিলো না। সাজানো গোছানো বই রাখার তাক বা রেক ছিলো না। বই বিক্রেতার বসার কোনো চেয়ার ছিলো না। দরকার হয়নি সরকারি অনুমোদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বা নিরাপত্তার।
তখন মাত্র ৩২টি বই নিয়ে বতটলার চটের ওপর বসে বই বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় পর এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে বই মেলা। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। এই মেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী। অনেক সুন্দর সাজানো গোছানো এই বই মেলা। এখন শত বা হাজার নয়, লাখ লাখ বই প্রকাশিত হয়। পুরনো লেখকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন লেখক। মেলায় দেখা যায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।
মেলা এখন অনেকটাই ব্যয়বহুল। স্টল সাজানো আর বই প্রকাশ কোনোটাই এখন আর সস্তায় নেই। তাই ব্যয়বহুল এই মেলাকে অর্থবহ করতে দুটি জিনিস খুবই জরুরি। এক- বই কেনা, দুই- বই পড়া। এই দু’টি জিনিস বাড়লে বৃহত্তর পরিসরে আয়োজিত এই মেলার স্বার্থকতা নিশ্চিত হবে। কারণ, জ্ঞান চর্চা খুবই জরুরি। প্রযুক্তির এই যুগে এখন আমরা বই থেকে অনেক দূরে। এই মেলায়ই আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বই থেকে দূরে থাকা যাবে না। তাই, আমাদের উচিত বই কেনা ও পড়া। তাহলে প্রাণেরই এই বই মেলা রূপ নিবে জ্ঞানের মেলায়।