বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে প্রতীকী হালখাতা। আজ ১৪ প্রপ্রিল (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় দোকানে বাকি খেয়ে থাকেন। বিগত আওয়ামী দুঃশাসনে অনেক শিক্ষার্থী রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দোকানগুলো থেকে বাকি নেয় এবং দীর্ঘ সময় তা পরিশোধ করে না, কিংবা কখনোই পরিশোধ করে না। এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বা দুর্বল দোকানিরা চরম দুর্দশায় পড়েন; কারো কারো স্থায়ীভাবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। এই চর্চা বন্ধের লক্ষ্যেই এই আয়োজন করা হয়েছে।
অন্বেষা বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমরা বটতলায় প্রতীকী হালখাতার এই টেন্টে অবস্থান করছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বটতলার বিভিন্ন দোকান ও হলের ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার যে প্রথা চালু করেছিল, সেই প্রথাকে সম্পূর্ণরূপে বিদায় জানাতে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি সচেতনতামূলক বার্তা পাঠাতে আমরা এই টেন্টের আয়োজন করেছি।”
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, “আমরা পহেলা বৈশাখের এই হালখাতা উৎসবের মাধ্যমে এই বার্তাটি দিতে চাই— আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিগুলো যেন হারিয়ে না যায়। সেই ভাবনা থেকেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।
বিগত সময়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের বটতলার বিভিন্ন দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাকিতে নিয়েছে। সেই বিষয়টিকে উপস্থাপন করে ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এভাবে বাকি না নেয়, তার প্রতীকী রূপ হিসেবেই আজকের এই হালখাতার আয়োজন। পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টাও এটি।”