খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মাদ অনিক ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মোজাহিদুল ইসলাম জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২০ সালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুটি মামলায় তাদের ৩০ বছরের সাজা ও হয়েছিল। এছাড়া খুলনা ও ময়মনসিংহ জেলায় তাদের বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, বিগত সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। নির্যাতনের মাধ্যমে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে তাদের সাজা দেয়া হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ৫ ই আগস্ট পরবর্তী অনেক বন্দীর মুক্তি মিললেও আমাদের ভাইদের মুক্তি মেলেনি আজও। নতুন সরকার গঠিত হলেও তাদের এখনো মুক্তি মেলেনি মিথ্যা মামলা থেকে।শিক্ষার্থীরা আরো বলেন,অপরাধ প্রমাণ হয়নি, তবু বছরের পর বছর জেল।আর কতদিন অন্যায়ভাবে কারাবন্দি? অবিলম্বে মুক্তি চাই! তারা বলেন,সাজানো মামলায় ৫ বছরের অধিক সময় ধরে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ অনিক ও মোজাহিদুল ইসলাম রাফি নিঃশর্ত মুক্তি চাই। শিক্ষার্থী থেকে সাজানো আসামি” বানানোর ভয়ংকর ষড়যন্ত্র! গুম অবস্থায় “জঙ্গি অভিযানের নাটক সাজিয়ে গ্রেপ্তার!
এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন গণমাধ্যমের সামনে-
- আমরা ন্যায়বিচার চাই
- সাজানো মামলা বাতিল করো
- রাফি ও অনিকের নিঃশর্ত মুক্তি দাও
- শিক্ষাজীবন ফিরিয়ে দাও
- ষড়যন্ত্রকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে
উক্ত মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ।মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু একটি অরাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলায় প্রথমে গুম, পরে গ্রেফতার করে দীর্ঘ ৫ বছরের ও অধিক সময় তাদের বন্দী রাখা হয়েছে। এটা খুবই লজ্জাজনক কাজ। তিনি আরো বলেন,আমরা এই সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে,আমাদের দুই শিক্ষার্থীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিন।