চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিকে সামনে রেখে লাহোরের সদ্য উদ্বোধন করা গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে গতকাল শনিবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের ৩৭.৩ ওভারে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন খুশদিল শাহ। ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ নিতে প্রস্তুত ছিলেন ফিল্ডার রাচিন রবীন্দ্র। কিন্তু বল হাতের বদলে সরাসরি আছড়ে পড়ে তার কপালে।
দৃশ্যতই দেখা যাচ্ছিলো বেশ গুরুতর চোট পেয়েছেন রাচিন। বল লাগার পর মুহূর্তেই রক্তক্ষর হতে দেখা যায় তার কপাল থেকে। মাঠে কিছুক্ষণ শুশ্রুষার পর মাথায় তোয়ালে চেপে তাকে নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান পাকিস্তানের পুলিশ ও নিউজিল্যান্ড দলের চিকিৎসক।
শনিবার এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ’রাচিনের কপালে আঘাতটির মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত পর্যবেক্ষনে থাকবেন রাচিন।’
আপাত দৃষ্টিতে ফ্লাডলাইটের কারণেই বলের সাথে যোগাযোগ হারিয়েছিলেন রাচিন। মূলত নতুন করে সাজানো লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের আলোক সমস্যায় ফ্লাডলাইটের আলো পড়ায় শেষ মুহূর্তে চোখ ধাঁধিয়ে যায় রাচিনের। বলের গতিপথ বুঝতে পারেননি। বল সরাসরি আঘাত করে তার কপালে।
এদিকে মাঠে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে স্টেডিয়ামের আলোক ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এমনকি গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আলোক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কিউই ক্রিকেটাররা। যদিও এখনো কিউই ক্রিকেট বোর্ড থেকে এই বিষয়ে কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবে দিন দশেক পর শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পিসিবির এহেন অব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরাও।
বেশিরভাগ ভক্ত রবীন্দ্রের চোটের জন্য দুর্বল ফ্লাডলাইটকে দায়ী করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভক্ত লিখেছেন, ’রাচিন রবীন্দ্র পাকিস্তানের পুরো দলের চেয়ে অনেক ভালো ফিল্ডার। তারপরও সে ক্যাচ ধেরার সময় বল দেখতে পায়নি!? গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আলোর অবস্থা খুবই খারাপ’ লিখেছেন আরেক ভক্ত।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আবরার আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৫ রান করেছিলেন। গ্লেন ফিলিপসে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান তুলেছিল মিচেল স্যান্টনারের দল। এদিকে ম্যাচটিতে বোলিং করার সময় চোট পেয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। তাকে মাঠ ছাড়তে হয় এবং ব্যাটিংও করতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ ওভার ৫ বলে ২৫২ রানেই থেমে যায় রিজওয়ানদের ইনিংস। ৭৮ রানের জয় পায় কিউইরা।