কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও পরবর্তী বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংহতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা টিএসসি থেকে মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন এবং শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। তারা কুয়েট প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন—‘দফা এক, দাবি এক—কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস চলবে না’, ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লড়াই করে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি।
সমাবেশে বক্তারা কুয়েট প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেন। ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, “আমরা একবার ফ্যাসিবাদ হটিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ গড়েছিলাম। কিন্তু আজকের কুয়েটের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে সেই অন্ধকার যুগে ফিরে যাচ্ছি। হামলার শিকাররাই এখন মামলার আসামি। এটি চরম অন্যায়।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময় বলেন, “নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েমের অপচেষ্টা চলছে। তবে জনগণ তা সফল হতে দেবে না। যারা অতীতে ভারতে পালিয়েছিল, আজ তারা আবার সেই পথেই হাঁটছে কি না—এটাও ভাবার বিষয়।”
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর বিএনপিপন্থি সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে ছাত্ররাই প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অথচ ভিসি সেনাবাহিনীকে প্রবেশের অনুমতি দেননি। এখন হামলার শিকারদের বিরুদ্ধেই মামলা হচ্ছে। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের মিছিলকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের দ্বিমুখী নীতির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে কুয়েটের ভিসি মো. মাসুদের পদত্যাগ, মামলা প্রত্যাহার এবং হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।