আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট ও যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামী ১৪ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে। এবারও সব অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। কাউন্টারে কোনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে না।
রেলভবনে মঙ্গলবার(মার্চ ০৪) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সভা সূত্র জানিয়েছে।
সে হিসাবে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হতে পারে ২৪ মার্চ। ঈদে বেশ কয়েকটি রুটে বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে। তবে কয়টি বিশেষ ট্রেন চলবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী রুট চূড়ান্ত করা হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
সভায় অংশ নেওয়া রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, সভায় ট্রেনে অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও কোচ যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রায় ৩৬টি অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে কিছু মিটারগেজ এবং সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে কিছু ব্রডগেজ কোচ আনা হবে।
জানতে চাইলে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট নিয়ে গতকাল প্রস্তুতিমূলক সভা করার বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঈদকেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আরেকটি সভা হবে। সেখানেই বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে যখন কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হত তখন নানা হয়রানির শিকার হতে হত। ভোর থেকে সারাদিন পেরিয়ে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাড়িঁয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে হতো। এতে অনেক হয়রানির শিকার সহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে যেত। অনলাইনে টিকিট কাটার ফলে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি হলে ও স্টেশনে থাকবেনা টিকিট প্রত্যাশীদের চিরচেনা সেই ভিড়। ফাঁকা থাকবে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন। রাত জেগে টিকিট কেনার অপেক্ষার দৃশ্য এখন অতীত।
ঈদে বেশ কয়েকটি রুটে বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে। তবে কয়টি বিশেষ ট্রেন চলবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী রুট চূড়ান্ত করা হবে।