অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে ইউক্রেন, দ্বিতীয় ভারত

New-Project-2025-03-11T124039.399.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

অস্ত্র আমদানিতে ইউক্রেন আছে এক নম্বরে। ২০২০-২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক হয়ে উঠেছে ইউক্রেন , যেখানে এর আমদানি ২০১৫-১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে এক নম্বরে হলে ও  দুই নম্বরে আছে ভারত। তবে ভারত অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়েছে।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (SIPRI)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২০-২৪ সালে ইউক্রেনের মোট অস্ত্র আমদানির পরিমাণ ছিল বিশ্বের মোট আমদানির ৮.৮ শতাংশ। এই বৃদ্ধি পেয়েছে রাশিয়ার পূর্ণ আক্রমণের পর, যা ইউক্রেনের অস্ত্র সরবরাহে এক নতুন মাইলফলক হিসাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সিপরির রিপোর্ট বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলেও অস্ত্র কেনাবেচার পরিমাণ বেড়ে গেছে।

এই রিপোর্টের একজন লেখক ম্যাথু জর্জ বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে, এই ভয় থেকেই ইউরোপ বেশি করে অস্ত্র কিনছে। এর আগে যারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করতো সেই সৌদি আরব, ভারত, চীন ওই সময়ের মধ্যে অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।

রিপোর্ট বলছে, ৩৫টি দেশ ২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়েছে। তার মধ্যে ৪৫% অস্ত্র গেছে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে। জার্মানি ১২% ও পোল্যান্ড ১১% অস্ত্র দিয়েছে।

এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তাহলে ইউক্রেনের কতটা সমস্যা হবে। ২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ইউক্রেনই হলো অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে প্রথম ১০-এ থাকা একমাত্র ইউরোপের দেশ। ইউরোপের অনেক দেশ অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বাড়ালেও প্রথম ১০-এ নেই।

সিপরি আর্মস ট্রান্সফার প্রোগ্রামের সিনিয়র গবেষক পিটার ওয়েজম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঁচশটি যুদ্ধবিমান ও অন্য অস্ত্র কেনার বরাত দিয়ে রেখেছে।

বিশ্বে অস্ত্র রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে। ২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে তারা ১০৭টি দেশকে অস্ত্র দিয়েছে। মোট অস্ত্র রপ্তানির ৪৩% যুক্তরাষ্ট্র থেকে হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের তুলনায় তাদের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ চারগুণেরও বেশি বলে ম্যাথিউ জর্জ জানিয়েছেন।

২০১৫ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ ৬৩% কমেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালে তারা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অস্ত্র বিক্রি করেছে।

Leave a Reply

scroll to top