অবৈধ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে

New-Project-2025-03-01T144402.579.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় যেসব বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, এসব মানুষকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ জন্য দিল্লি পুলিশকে তিনি নির্দেশও দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন— এমন একজন কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, বৈঠকে রাজধানী নয়াদিল্লি সহ দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জানতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এনডিটিভিকে ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, দিল্লির যেসব কলোনিতে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা বসবাস করেন, সেগুলো নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যারা ভুয়া নথিপত্র কিংবা কোনো নথি ছাড়াই বসবাস করছেন, তাদের শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।”

“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হালনাগাদ তথ্য জানানোর পর তিনি বলেছেন, অবৈধ অভিবাসী ও অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। এ ব্যাপারে আমাদের সবার কঠোর হতে হবে। অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব শনাক্ত করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”

যাদের সহযোগিতা এবং আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই নথিবিহীন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা দিল্লিতে বসবাস করছেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, “এটা একটা বড় নেটওয়ার্ক। যে কোনো মূল্যে এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে হবে, অপরাধীদের আইনের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং এজন্য অভিযানে যতখানি কঠোরতা আনা প্রয়োজন— আনতে হবে।”

উল্লেখ্য,    বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। বাংলাদেশের কেউ   রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়ার ব্যপারে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের হুশিয়ারি দেননি। এদেরকে কিভাবে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া যায় বাংলাদেশ সে লক্ষে কাজ করে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে  মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন, ও দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যতের দিকে একটি সুনির্দিষ্ট পথ থাকা দরকার। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এ বছরের শেষের দিকে জাতিসংঘ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রতি তার সমর্থন জানান।

Leave a Reply

scroll to top